আয়ুর্বেদিক জীবানুনাশক টানেল তৈরী করল মেমারীর একটি বিদ‍্যালয়ের পড়ুয়ারা

13th June 2020 7:24 pm বর্ধমান
আয়ুর্বেদিক জীবানুনাশক টানেল তৈরী করল মেমারীর একটি বিদ‍্যালয়ের পড়ুয়ারা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( মেমারী ) :  পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় আয়ুর্বেদিক জীবাণুনাশক টানেল তৈরি করলেন মেমারি ক্রিস্টাল মডেল স্কুল এর টেকনোলজি ক্লাবের কয়েক জন ছাত্র ছাত্রী ও মেন্টররা। সাধারণত জীবাণুনাশক টানেলে জীবাণুনাশক হিসেবে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট ব্যবহার হচ্ছে যা মানুষের শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে । সেইজন্য জীবাণুনাশক হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা বিরলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামের ন্যায় ক্রিস্টাল মডেল স্কুলও উদ্ভিজ্জ জীবাণুনাশক ব্যবহার করছেন। এই টানেলটি স্কুল চত্বরের প্রবেশপথে বসানো হয়েছে যাতে টানেলে মধ্য দিয়ে কেউ স্কুলে প্রবেশ করলে শরীরে স্বয়ংক্রিয় ভাবে আয়ুর্বেদিক জীবাণুনাশক স্প্রে করবে উচ্চচাপের এয়ার কম্প্রেসার । একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পোশাক জুতো ,স্কুল ব্যাগ সহ টানেলে প্রবেশকারীর সারা শরীরের উপরি অংশ জীবাণুরহিত করার ক্ষমতা আছে‌ এই আয়ুর্বেদিক জীবাণুনাশক টানেলের।  এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্রী অরুন কান্তি নন্দী জানান আমাদের স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রী নিজের পছন্দের বিষয়ে পারদর্শী কোরে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের একটিভিটি ক্লাব রয়েছে। এই রকমই একটি টেকনোলজি ক্লাবের কয়েক জন ছাত্র ছাত্রী , মেন্টরদের তত্বাবধানে  এই টানেল তৈরি হয়েছে। কোভিড - ১৯ মহামারীর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী দিনে পঠনপাঠন ও অন্যান্য বিষয়ে অভিভাবক ও শিক্ষক  দের নিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আজ ১৩  ও ১৪ জুন আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই উপলক্ষে আজ থেকে এই টানেল ব্যবহার আরাম্ভ করা হলো। প্রসঙ্গত তিনি জানান আগামী দিনে স্কুল চালু হলে স্কুল - বাস , স্কুল ভবন যাতে জীবানু মুক্ত রাখাযায় সেজন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।